নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসন কেটে দেওয়া প্রস্তাবের প্রতিবাদে শরণখোলায় পালিত হয়েছে হরতাল ও অবরোধ। শরণখোলা উপজেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকে রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল থেকে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
হরতালে সকাল থেকেই শরণখোলায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। বন্ধ থাকে দোকানপাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অফিস-আদালত। স্কুল-কলেজে কোনো ক্লাস হয়নি, এমনকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। দুরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি শরণখোলা থেকে। সমর্থনকারীরা রাস্তায় পিকেটিং করেন এবং খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করেন।
বিক্ষোভ মিছিলগুলো উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার প্রদক্ষিণ করে পাঁচরাস্তা মোড়ে পৃথক পৃথক সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত, বিএনপি নেতা ইসহাক আলী মোল্লা, কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমীর মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম কবীর, সদস্য সচিব ও জামায়াতের উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মো. মোস্তফা আমীন প্রমুখ।
অপর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেন মিলন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান খান, রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নান্না মিয়া বিএসসি প্রমুখ। বক্তারা বলেন, অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল করে বাগেরহাট-৪ আসন বহাল রাখতে হবে। নতুবা বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে বাধ্য করা হবে।
এদিকে অনিবার্য কারণে রবিবারের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করে বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ব্যাংক-বীমার লেনদেনও সীমিত রাখা হয়।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সংসদীয় আসন বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) কেটে বাগেরহাট-৩ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে।
খুলনা গেজেট/এসএস